বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের ভোলা নদীর চরে তলাফেটে ডুবে যাওয়া সারবাহী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাভালে নূরকে  ৩১ দিন পর অবশেষে উদ্ধার করছে মালিক পক্ষ। জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ঢাকা ও বরিশাল থেকে ভাড়া করে আনা রূপসী বাংলা ও ওয়েস্ট্রান নামের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ শুক্রবার রাতে সারবাহী লাইটারেজ জাহাজটিকে ডুবোচর থেকে নদীর মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তবে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ মালিক পক্ষের নামে ক্ষতিপূরণ মামলা করায় আদালতে নির্দেশ না থাকায় ডুবে যাওয়া সারবাহী লাইটারেজ জাহাজটিকে দু’টি উদ্ধারকারী জাহাজ সুন্দরবনের ভোলা নদীর মধ্যে নিয়ে রেখেছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাদঁপাই রেঞ্জের এসিএফ কামাল উদ্দিন বলেন, সুন্দরবন বিভাগ নিজস্ব শ্রমিক নিয়োগ করে পানি মিশ্রিত অবশিষ্ট পটাশিয়াম সার অপসারণ পর ডুবে যাওয়া সারবাহী লাইটারেজ জাহাজটির মালিক পক্ষ জাহাজটিকে উদ্ধার করতে নামে। মালিক পক্ষ ঢাকা ও বরিশাল থেকে রূপসী বাংলা ও ওয়েস্ট্রান নামের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ ভাড়ায় নিয়ে এসে গত ১৫ দিন ধরে চেষ্টার পর শুক্রবার রাতের জোয়ারে জাহাজটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ডুবে যাওয়া সারবাহী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাভালে নূরের মালিক আমিনুল ইসলাম বাবুল বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে পলি পড়ে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় জাহাজটি উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। সারবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছি। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জাহাজসহ আমাদের নামে ক্ষতিপূরণ মামলা করায় আদালতে নির্দেশ না থাকায় জাহাজটিকে দু’টি উদ্ধারকারী জাহাজ সুন্দরবনের ভোলা নদীর মধ্যে নিয়ে রেখেছে। আদালতের নির্দেশ পেলে দ্রুত জাহাজটিকে মেরামতের জন্য ডককিয়ার্ডে নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত এমভি জাভালে নূর নামে লাইটারেজ জাহাজটি মংলা বন্দর থেকে ৬শ’ ৭০ মে.টন এমওপি সার (পটাশিয়াম) নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি যাচ্ছিল। ৩মে ওই জাহাজটি বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর চরে আটকা পড়ে। এর দুইদিন পর ৫মে সারবাহী লাইটারেজ জাহাজটি তলা ফেটে নদীতে ডুবে যায়। পানিতে গলে ভেসে যায় অধিকাংশ এমওপি সার।
(একে/পিবি/জুন ০৭,২০১৫)