ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ২ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ হয়।

এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮টি বাড়িঘর, ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুজারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব ভূইয়ার সাথে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক সরোয়ার হোসেনের কয়েক বছর যাবত বিরোধ চলছে।

সর্বশেষ গত ১২ মে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় দুই পক্ষের উত্তেজনা নিরসনে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর, আলগী, চন্দ্রা, কাউলীবেড়া, ঘারুয়া ইউনিয়নের ৫ চেয়ারম্যান তুজারপুর গ্রামে গিয়ে দুই পক্ষের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। তারা এলাকা থেকে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরে সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের কয়েকশত লোক প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করে। এসময় শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

এই সময় সরোয়ার হোসেনের সমর্থকরা সোহরাব ভূইয়ার পক্ষের ভাষান মাতুব্বর, হায়দার মাতুব্বর, মাসুদ মাতুব্বর, লিটন মাতুব্বর, খলিল মাতুব্বর, রব মাতুব্বরের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

আবার সোহরাব ভূইয়ার সমর্থকরা সরোয়ার হোসেনের পক্ষের মুনতাজ মাতুব্বরের বাড়িঘর, আবুল মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, উত্তেজনা নিরসনের জন্য আমরা সকালে ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম। দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দ কথা দিয়েছিল তারা শুক্রবার সকালে আমাদেরকে জানাবে কখন তারা শান্তি বৈঠকে বসবে। কিন্তু তারা কথা রাখেনি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি বাড়িঘর ও ২টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

(এডি/পিএস/জুন ১১, ২০১৫)