বাগেরহাট প্রতিনিধি : গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের ৫৫ দিন পর টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠা সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় টানা বৃষ্টি শুরু হলে শহরের বিভিন্ন এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুদের বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে।

এদিকে গত ২/৩ দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছিল না বাগেরহাট সদরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। তাই বৃষ্টির জন্য শহরের মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় চলছিল প্রার্থনা।

বাগেরহাট পৌর এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর গ্রীষ্মের তাপদাহ অন্য যেকোন বছরের তুলনায় বেশি। প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়া ও সর্দি-কাশিসহ নানা ধরনের রোগে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। দুপুরের এক পসলা বৃষ্টিতে মানুষের মাঝে নতুন আশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অপরদিকে প্রচন্ড তাবদাহ আর লবণাক্ততার প্রভাবে বাগেরহাটের মৎস্য ঘেরগুলোতে মড়ক দেখা দিয়েছিল। মরে যাচ্ছিল সাদাসোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছ। তাপ ও লবণাক্ততার প্রভাবে সব হারানোর শঙ্কায় এ জেলার চাষীরা হয়ে পড়েছিল আতঙ্কগ্রস্ত।

গত প্রায় দেড় মাস ধরে এমন অবস্থা চলছিল বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, ষাটগম্বুজ ও ডেমা ইউনিয়নের বিভিন্ন মৎস্য ঘের ও বিল অঞ্চলে।

গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপে শুধু এ অঞ্চলই নয়, পুড়ছে গোটা জেলা। আর উত্তাপের এমন চিত্র ছিল প্রায় পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদ জুড়ে। টানা বৃষ্টিতে তাই বাগেরহাটের মৎস্য চাষীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন আশার।

অনেক মাছ চাষীই আনন্দের সাথে জানান, এভাবে আর দু’এক দিন বৃষ্টি হলে ঘেরের পানির লবনাক্ততা কেটে যাবে। লবণপানি আর তীব্র তাপদাহের কারণে মৎস্য ঘের, খামার ও পুকুরের পানির কারণে মাছের যে রোগ দেখা দিয়েছিল বৃষ্টির কারণে সেগুলো আর থাকবে না।

(একে/পিএস/জুন ১১, ২০১৫)