আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):দু’বছরের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলো উভয় পরিবার। সেমতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের কথাবার্তাও হয়। কিন্তু প্রেমিকের পিতা কনের (প্রেমিকার) বাবার কাছে দু’লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে কনেকে শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ করা হয়।

এতে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে কনে ইয়াসমিন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের।

ওই গ্রামের সিরাজ হাওলাদার জানান, তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ইয়াসমিন খানমের (২২) সাথে গত দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশ্ববর্তী পশ্চিম সমরসিংহ এলাকার গ্রাম পুলিশ হানিফ পাইকের (চৌকিদার) পুত্র শাহাদাত হোসেনের।

বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হলে উভয়পরিবার সামাজিক ভাবে তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের কথাবার্তা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ মোবাইল ফোনে তার কাছে দু’লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে তিনি অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সকালে পূনরায় হানিফ ফোন করে তার মেয়েকে (ইয়াসমিন) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে অভিমান করে ওইদিন দুপুরে পরিবারের সবার অজান্তে ইয়াসমিন তার শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। গৌরনদী থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



(টিবি/এসসি/জুন১২,২০১৫)