যশোর প্রতিনিধি : প্রতারণার শিকার হয়ে যশোরের এক ফল ব্যবসায়ীর পথে বসার উপক্রম হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ টাকা খুইয়ে ওই ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। টাকা ফেরত পাবার আশায় ওই ব্যবসায়ী এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

প্রতারিত ব্যবসায়ী যশোর শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফল ব্যবসায়ী নীলগঞ্জ তাতীপাড়ার মিঠু খন্দকার।

তিনি কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রিতে অভিযোগ করে বলেছেন, জেলার শার্শা উপজেলার পিপড়েগাছি গ্রামের আব্দুল মালেক, তার স্ত্রী রাশিদা বেগম ও ছেলে আবুল কালামের সাথে তার ব্যবসায়িকভাবে পরিচয় ঘটে। এ সময় তার সাথে ব্যবসা শুরু হয় তাদের।

প্রথম প্রথম লেনদেনও বেশ ভালো ছিল। এক পর্যায়ে আসামিরা চলতি মৌসুমের ফল দেবার নাম করে তার কাছ থেকে ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা নেন। কিন্তু বর্তমানে ফল ব্যবসার মৌসুম চলছে। মৌসুমের ফল মিঠু খন্দকারকে না দিয়ে আসামিরা অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে।

এদিকে মিঠু খন্দকারের কাছ থেকে নেওয়া টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। টাকা চাইলে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রতারিত হয়ে ব্যবসায়ী মিঠু খন্দকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

মৌসুমে ফল ব্যবসা না হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাকে রাস্তায় নামতে হবে এমন আশঙ্কায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। যে কারণে তিনি টাকা ফেরত পাবার আশায় থানায় অভিযোগ করেছেন।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে আব্দুল মালেকের স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন, আমরা কারো টাকা মেরে খাই নি। মিঠুর সাথে আমাদের কোন লেনদেন নেই।

অভিযুক্ত আব্দুল মালেকের ছেলে আবুল কালাম বলেন, মিঠু যদি আদালতে যায় তাহলে আমরাও আদালতে যাব। সে যদি টাকা পায় আমারা আদালতে টাকা দেব।

এদিকে মিঠু খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, তার সাথে ভালো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে শার্শার পিপড়েগাছি গ্রামের আব্দুল মালেক, তার স্ত্রী রাশিদা বেগম ও ছেলে আবুল কালাম ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা না পেলে আমি ২/১ দিনের মধ্যে আদালতে যাব।

তিনি আরও বলেন, তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তার স্ট্যাম্প করা আছে। আসামিরা টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে আইনের মাধ্যমে তিনি ফেরত পাবার আশা করছেন।

(জেকেএম/পিএস/জুন ১৪, ২০১৫)