বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের শরণখোলায় ওসিএলএসডি হুমাউন কবিরের দুর্নীতির অভিযোগ গনমাধ্যমে প্রকাশের পর জেলা খাদ্য বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। ওসিএলএসডি হুমাউন কবিরের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে ওসিএলএসডি’র দুর্নীতির আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

একাধিক সুত্রে জানাগেছে, বাগেরহাটের শরণখোলার খাদ্য গোডাউন কর্মকর্তা হুমাউন কবিরের বিরুদ্ধে খুলনা সিএসডি গোডাউন থেকে স্থানীয় কালোবাজারী সহিদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদসহ অন্যান্যদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের চাল পাচার করে দেয়া, সরকারী কর্মকর্তা হয়েও নীজে চাল ও গমের ব্যবসা করা ও ওজনে কম দেয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পায়। বাগেরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মোলেড়গঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সহিদুল ইসলামকে প্রধান করে এবং মোড়েলগঞ্জ খাদ্য পরিদর্শক মো: আকরামুজ্জামান ও শরণখোলা খাদ্য পরিদর্শক দেবদুত রায়কে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিস্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ওই ওসিএলএসডি’র বিরুদ্ধে আরো দুর্নীতির খবর গনমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রকল্প চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী গুদাম থেকে চাল কিংবা গম ডেলিভারী দেয়ার সময় প্রতি বস্তার ওজন হিসাবে ৭’শ গ্রাম ধরা হয়। কিন্তু তা তিনি কেউকে না দিয়ে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। তারা আরো অভিযোগ করেন গোডাউনে মালামাল পরিমাপের (মাপার) জন্য ২টি কাটা রয়েছে। একটি ব্যবহার করা হয় মালামাল ডেলিভারীর কাজে। অপরটি মালামাল রিসিভ করতে। ডেলিভারীর কাটায় বস্তা প্রতি ১ কেজি কম বানিয়ে ফিক্সড করা হয়েছে। যা থেকে টন প্রতি ২০ কেজি করে আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া টন প্রতি ঘুষ নেন ৩’শ টাকা বলে ওই ব্যবসায়ীরা দাবী করেন।

(একে/এসসি/জুন১৭,২০১৫)