আগৈলঝাড়া (বরিশাল)প্রতিনিধি :বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বোমা বানাতে গিয়ে স্পি­ন্টারের আঘাতে মুখ মন্ডল ঝলসে গেছে এক যুবকের। গুরুতর আহতাবস্থায় চুপিসারে ওই যুবক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্পি­ন্টারের আলামত সংগ্রহ করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল গ্রামে হালিম গাইন ওরফে হালিম মিয়ার ছেলে ছাব্বির বৃহস্পতিবার বেলা দশটার দিকে তার সহযোগীদের নিয়ে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে স্পি­ন্টারের আঘাতে মুখের ডান পাশের একটি বড় অংশ পুড়ে যায়। তাৎক্ষনিক তাকে স্থানীয় হরে কৃষ্ণ নামের এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি গুরুতর জখমের কারনে চিকিৎসা করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে ছাব্বিরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ছাব্বিরের চাচা শাহ আলম গাইন ওরফে মিয়া ও আগৈলঝাড়ায় বিএনপি জামাতের অবরোধ চলাকালীন সময়ে পেট্রোল ঢেলে গাড়ি পোড়া মামলার হাজত খাটা আসামী সম্প্রতি জামিনে মুক্ত কবির ফকিরের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এলাকায় নাশকতার জন্য বোমা বানাচ্ছিল।
খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন।

এসআই মোস্তাফিজুর রহমাান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ছাব্বিরের অন্যান্য কোন সহযোগীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে সম্পৃক্তরা পলাতক রয়েছে। ছাব্বিরের অভিভাবকদের থানায় ডাকা হয়েছে। তার পরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বরিশাল হাসপাতালে খোজ নিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন যে, বিস্ফোরণে ছাব্বিরের চোখে বেশী আঘাত লেগেছে, এছাড়াও মুখের কিছু ক্ষতি হয়েছে। পুরো বিষয়টি পুলিশ অবজারবেশনে করছে। নাশকতার কোন আলামত পেলে আউনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ছাব্বিরের মা জাহানারা বেগম বলেন, রমজান শুরু চাঁদের রাতে ছেলেরা ফুর্তি করার জন্য সাইকেলের স্পোক দিয়ে বিশেষ ধরনের বাজি ফুটাচ্ছিল। তার একটি না ফোটায় ছাব্বির হাতে নিয়ে দেখতে গেলে তখন তা বিস্ফোরিত হয়ে সে আহত হয়।

(টিবি/এসসি/জুন১৯,২০১৫)