গৌরীপুর প্রতিনিধি : প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ ভাঙনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার দুইটি গ্রামের অর্ধশত পরিবার হারিয়েছে বসতভিটা। ভাঙনের ফলে দুই শতাধিক বাড়িঘর ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়ে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ভাটিপাড়া ও কাশিয়ারচর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ গৃহহারা হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ ভাঙনের মুখে আরও ২৭টি বাড়ি।

গ্রাস করেছে সড়ক। ভাটিপাড়া গ্রামটির অধিকাংশ জমি নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কেড়ে নিয়েছে ফসলী মাঠ। স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। প্রশাসনের আশ্বাসে প্রস্তাবিত ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প এক বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। ভাঙন ঠেকাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কোন কার্যক্রম নেই।
উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামটির অধিকাংশ জমি ও নাপ্তের আলগী সড়কটি নদের গর্ভে চলে গেছে। ইতিমধ্যে উমেদ আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া, ওয়াহেদ আলীর পুত্র খালেক, আব্দুল খালেকের স্ত্রী নারগিস আক্তার, শাহাব উদ্দিন, খুদরত আলীর পুত্র মুরশিদ আলী, জয়নাল মিয়া, রজব আলী, তাহের উদ্দিনসহ ২৭টি পরিবারের বাড়িভিটা কেড়ে নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। সে বাঁধও ভেঙ্গে গেছে।

একাধিকবার নদের তীরে নির্মিত বসতভিটা হারিয়েছে সুতি মিয়া। পরিবারের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে শংকায় তিনি। আবারও নদের গর্ভের বিলীন হওয়ায় আশংকায় রাত কাটাচ্ছে রুবেল মিয়া, আলাল উদ্দিন, বাবুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, জামাল মিয়া, সুতি, রবিকুল, আব্দুল গনি, আব্দুল কদ্দুছ, মমতাজ, মেয়া হোসেন, বাচ্চু মিয়া, হুমায়ুন কবির, রবিকুল ইসলাম, রজব আলী, উমেদ আলী। নাপ্তেরআলগী, ভাটিপাড়া, ভোলারআলগী গ্রামসহ ভাংনামারীর সীমানা রক্ষায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এক বছর পূর্বে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধরক্ষার প্রকল্প নেয়ার বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানিয়ে আশ্বাস করেন। তবে এ প্রকল্পের কাজ এক বছরেও শুরু হয়নি।


(এসআইএম/পিবি/জুলাই ০১,২০১৫)