বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনা গ্রামে গোলাঘাটা গ্রামের বাবুল গাজীর ছেলে মো. সাব্বির হোসেন(১৫) নামে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে তিনদিন আটকে রেখে দক্ষিন রামনা গ্রামের মো. মোসলেম খানে মেয়ে ৮ম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া এলিজা আক্তারের(১৩)  সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় জোর করে এ বাল্যবিবাহ দেওয়া হয়েছে।  তারা উভয়ই রামনা শের-ই-বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। এ বাল্য বিয়ের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও প্রশাসন ও কোন এনজিও বাল্য বিয়ে বন্ধে কোন উদ্যোগ নেয়নি। 

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হৃদয়ঘটিত কারেণ স্কুল ছাত্র মো. সাব্বরি হোসেন সোমবার বিকালে এলিজার সাথে তার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে কথা বলছিল। এসময় মেয়েটির পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই স্কুল ছাত্রকে কৌশলে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েটির পরিবার একটি ঘরে গত তিন দিনধরে সাব্বিরকে আটকে রাখে। পরে বিষয়টি সাব্বিরের পরিবার জানতে পারলে মেয়েটির পরিবার এলিজার সাথে তাকে বিয়ে দেওয়ার দাবি তোলে। অবশেষে গত বুধবার সন্ধ্যায় কোন প্রকার কাবিন ছাড়াই স্কুল ছাত্র সাব্বির ও এলিজার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্র সাব্বিরের ভগ্নীপতি মো. জামাল মিয়া জানান, আমরা প্রথমে এ বিয়েতে রাজী ছিলাম না। সামাজিক পরিস্থিতির চাপে পড়ে আমরা এ বাল্যবিবাহে সম্মতি দিতে বাধ্য হয়েছি।
রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জমাদ্দার স্কুলছাত্র আটকে রেখে বিয়ে দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিস্পত্তি করার জন্য বলেছিলাম। এবং যদি কোন মিমাংসা না করা সম্ভব হয় তাহলে থানায় জানাতে বলেছি। তবে ওই দুই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়েছে কিনা জানি না।

এব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওমর ফারুক জানান, স্কুল ছাত্রকে আটকে রেখে বাল্য বিবাহ দেওয়া হয়েছে এমন ধরণের কোন সংবাদ আমাকে কেউ অবহিত করেনি।

(এমএইচ/এসএফকে/জুলাই ০২, ২০১৫)