কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ভারতীয় শাড়ি ও একটি ট্রলারসহ ৫ চোরাকারবারীকে আটক করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ । বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কালাচান পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন জাহিদ চেীধুরী, রাসেল, খায়রুল, বেল্লাল ও শানু মিয়া। তবে চোরাচালান চক্রের মূলহোতা আবুল কোম্পানীর আবুল কাজী, ইউসুফ কাজী ও মাদক ব্যবসায়ী আলীপুরের টুকু সিকদার পুলিশের অভিযান টের পেয়েই বিশাল একটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশ ট্রলার থেকে ২৩ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করেছে।

স্থানীয়দের ধারণা, বিশাল এ চোরাচালানের মাল আগেই খালাশ করে আলীপুরে ট্রলার নিয়ে আসার পথে পুলিশ এ অভিযান চালায়।

কলাপাড়া থানার এসআই ইদ্রিস আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ২৩ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করা হয়। তাদের ধারণা, এ ট্রলারে করে ভারতীয় শাড়ি ও মাদকদ্রব্য নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রলারের মালামাল কলাপাড়ার চম্পাপুরের পাটুয়া ঘাটে খালাস করা হতে পারে। এর আগেও এই পাটুয়া ঘাট থেকে পুলিশ বিশাল একটি শাড়ির চালান আটক করে। এ চোরাচালান চক্রের মূল হোতাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, পালিয়ে যাওয়া আবুল কাজী, ইউসুফ কাজী ও টুকু সিকদারকে গ্রেফতার করতে পারলেই বের হয়ে আসবে ট্রলারে কি কি চোরাচালান করা হয়েছে। আলীপুরের ওই তিনজন ও কলাপাড়া পৌর শহরের একজনসহ ৪ চিহ্নিত ব্যবসায়ী চোরাচালানের সাথে জড়িত। এরা মাত্র কয়েক বছরে শুধু এ চোরাচালান করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আয়ের উৎস খুঁজলেই বের হয়ে আসবে দক্ষিনাঞ্চলের চোরাকারবারীদের গডফাদারদের নাম।

এছাড়া ধুলাসারের এক মৎস্য ব্যবসায়ীও এ চোরাচালানের সাথে জড়িত। ওই ব্যবসায়ী কয়েকদিন আগেও রাস্তার পাশে বসে মাছ বিক্রি করলেও এখন সে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমকেআর/পিএস/জুলাই ০৩, ২০১৫)