কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :পটুয়াখালীর কলাপাড়া বিআরডিবি অফিস ভবনের ছাদের ভীম ও পিলার খসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল বর্ষেণর সময় ভেঙ্গে পড়ায় কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়নি।

বিকল্প বসার ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ন এই ভবনেই চলছে বিআরডিবি ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম। এ কারনে যেকোন সময় ভবন ধ্বসে ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এই দুই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানাযায়, ১৯৮১ সালে প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে ছয় কক্ষ বিশিষ্ট একতলা বিআরডিবি অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়। ৮২ সালে ভবনটি উদ্ধোধনের একদিন পূর্বে ভবনের পশ্চিম পাশ দেবে যায়। ওই সময় নিম্ন মানের কাজ একং ভবন নির্মাণ কাজে ঠিকমতো তদারকি না থাকায় দুই প্রকৌশলী বরখাস্ত হন। কিন্তু ভবনটি পুনঃনির্মাণে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

২০০৫ সালে ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়ে। তখন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভবন নির্মাণে বরাদ্ধ না পাওয়ায় ছাদ ভেঙ্গে ভিমের উপর টিনের চাল দেয়া হয়। কিন্তু মূল ভবনের পিলার ও দেয়াল সংস্কার না করায় পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভেঙ্গে পড়ে যায়।

বিআরডিবি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিআরডিবি অফিসে ২৭৫ টি সমিতির প্রায় ১০ হাজার সমবায়ী। এদের নিয়ে প্রায়ই অফিসে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একই ভবনে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট শতশত সদস্যদের কাজ করতে হয়। প্রায়ই ভবনের বিভিন্ন অংশ ধ্বসে পড়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীও সাধারণ মানুষ আহত হলেও ভবন নির্মাণে উদ্যোগ না নেওয়ায় গতকাল ধ্বসে পড়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ ও গাজী খবির উদ্দিন বলেন, কলাপাড়া উপজেলা কম্পাউন্ডে এই অফিসটিই বেশি জড়াজীর্ন এবং বেশি মানুষের আসা যাওয়া এই অফিসেই। সদস্যরা অফিসে আসলে কিংবা সভা করতে হলে ভবনের বাইরে রোদে বসিয়ে
সভা করতে হয় ভবন ঝুঁকির কারনে। আর এবারতো ভবনই ভেঙ্গে পড়েছে।

কলাপাড়া পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ভবনের যে অবস্থা কখন কোথা থেকে ভেঙ্গে পড়ে বোঝার উপায় নেই। তাঁদের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবসময়ই আতংকে থাকে।

বিআরডিবি ভুক্ত কেন্দ্রীয় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আখতাউর রহমান হারুন বলেন, ভবনের কোন রুমই অক্ষত নেই। প্রতিটি রুম থেকে বর্ষার পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অফিসের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রসহ মালামাল। একটু জোড়ে বাতাস ও বৃষ্টি হলেই ভবনের ওয়ালের পলেস্তারা ও পিলার খসে পড়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আহত হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান করা না হলে ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা করছেন।


(এমকেআর/এসসি/জুলাই০৭,২০১৫)