স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠনের তারিখ আবারো পেছানো হয়েছে। মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ২৭ জনই অনুপস্থিত থাকায় আগামী ১৪ জুলাই আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করেন আদালত। সোমবার সকাল ১১টায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ আদেশ দেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৩২ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র জি কে গউছ ও হরকাতুল জিহাদের ৪ জঙ্গীসহ মোট ৫ জন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলার অন্যতম আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে আনা হয়নি। এছাড়া অন্য মামলায় হাজিরার কারণে হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ অপর আসামিদের আদালতে হাজির করা যায়নি বলে আদালত সূত্র জানিয়েছেন।

সরকার পক্ষে মামলার আইনজীবী ও সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার পূর্ব নির্ধারিত চার্জ গঠনের তারিখ ছিল সোমবার। কিন্তু মামলার সব আসামি আদালতে হাজির না থাকায় আগামী ১৪ জুলাই পরবর্তী তারিখ ও চার্জ গঠনের দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।

কিশোর কুমার কর জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্তকৃত সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ কিছু আসামি অসুস্থ ও কিছু আসামি অন্য মামলায় অন্যত্র থাকায় তাদের আদালতে উপস্থিত করা যায়নি। ১৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে সব আসামির আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সোমবার মামলার শুনানিতে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর ছাড়াও সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহউদ্দিন সিরাজ ও হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এম আকবর হোসেন জিতু উপস্থিত ছিলেন। আসামি পক্ষে মামলার শুনানি করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল খালিক।

গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ আলোচিত এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ২ জুন হবিগঞ্জ জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নিশাত সুলতানার আদালত থেকে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছিল।


(ওএস/পিবি/জুলাই ০৬,২০১৫)