মরুর দেশের চিঠি
সুচিন্ত্য সাহা : এখন সারা পৃথিবীতে রমজান মাস চলছে । আরব আমিরাতেও তার ব্যতিক্রম নাই । বরঞ্চ ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি নিষ্ঠার সাথে পালন হয় ।
এখানে রমজানকে এরা রামাদান বলে । ইংরেজিতে এই ভাবে লেখা হয়- Ramadan mobarok. রমজান উপলক্ষে এখানে সমস্ত হোটেল সারাদিন বন্ধ থাকে । শুধু মাত্র ফাইভ স্টার এর রেস্টুরেন্ট গুলো খোলা থাকে । আর আন্তর্জাতিক মানের ফাস্ট ফুডের দোকান গুলো খোলা থাকে। কিন্তু বসে খাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র take away. অর্থাৎ বাসায় নিয়ে খেতে পারেন।
রমজান উপলক্ষে সমস্ত জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়া হয়। সুপার মার্কেট গুলো সারামাস ধরে বিভিন্ন অফার দেয় । এখন এখানে বেশ গরম । গরমে রমজানে আরো কঠিন অবস্থা । দিনের বেলা লোকজনের চলাচল কম। কিন্তু ইফতার এর পর থেকে শুরু হয় লোকজনের সমাগম । আর চলে সারারাত ধরে ।
দোকান পাট খোলা থাকে রাত তিনটা পর্যন্ত। তারপর বাসায় এসে ঘুমাতে ঘুমাতে রাত চারটা। তখনই আযান পড়ে । আর এভাবেই চলে রমজান মাস । দুবাই আবুধাবি সারজাহ আজমান আল আইনসহ সবখানে স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা রমজান উপলক্ষে মসজিদের পাশে একটা বড় তাবুর ঘর তৈরি করেন । এই ঘর থেকে সারা রমজান মাস জুড়ে সাধারণ মানুষের জন্য ইফতার এর আয়োজন করা হয় । বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের লেবাররা বিশাল লাইন ধরে ইফতার এর জন্যে । কিছু ফল, জুস, পানি এবং সাথে এক প্যাকেট বিরিয়ানি। রমজান মাস উপলক্ষে এখানকার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের একটা বড়ো কমুনিটি রোজার মাসে রান্না বান্না করে না। এই মুসলিমদের দেয়া ইফতার দিয়ে সারা মাস চলে । এ জন্য এ মাসে তাদের নিজেদের দেশে Remitence বেড়ে যায় ।
লেখক : ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।