সিলেট প্রতিনিধি : শিশু রাজনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন সোমবার দুপুরে পুলিশের কাছে দিয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। প্রতিবেদনে শিশু রাজনের বুক-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৬৪ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতন ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে রাজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা।

এদিকে সোমবার সকালে শিশু রাজন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইসমাঈল হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ। ইসমাইলকে নিজ গ্রাম সদর উপজেলার মিরের চর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার রাতে নিহত রাজনের গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রামে ২২ গ্রামবাসীর অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্যাতনকারী ঘাতকদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় ২২ গ্রামবাসীর আলটিমেটামের সময়সীমার মধ্যেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলো।

মামলার তদন্তকারী কর্মর্তা ও জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, থানার মিরের চর গ্রাম থেকে সোমবার সকালে ইসমাঈল হোসেন আবলুচকে (৩৫) সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করেছি। এছাড়া সোমবার দুপুরে রাজনের ময়নাতদন্তের মেডিকেল প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানিয়ে ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে রাজনের শরীরের ৬৪ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাস স্টেশন এলাকার একটি ওয়ার্কশপে শিশু রাজনকে চোর বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়। লোমহর্ষক এই নির্যাতনে রাজন মারা যায়। পরে তার মরদেহ গুম করার চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে আটক হয় মুহিত আলম।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আটক মুহিত আলম (২৫) ও তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৮), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৩, ২০১৫)