চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কোকেন আমদানির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মেহেদি আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এছাড়া একই মামলায় রিমান্ডে শেষে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরা হলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান এবং আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল।

সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলম এ আদেশ দিয়েছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, মেহেদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করেছেন। তিনজনকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে রবিবার একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কসকো শিপিং লাইনের ম্যানেজার এ কে আজাদকে কারাগারে পাঠান আদালত।

নগর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে গত ৬ জুন রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার বন্দরে সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সানফ্লাওয়ার তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, কেমিক্যাল পরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

চালানটি নগরীর খাতুনগঞ্জের খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে বন্দরে আনা হয়। কনটেইনারটি সিলগালা করার আগে নগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোলাম মোস্তফা সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছিল।

২৮ জুন নগরীর বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১(খ) ধারায় জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ওই মামলায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৮ জুলাই আদালতের নির্দেশে বন্দরে গিয়ে মামলার আলামত সংগ্রহ করেন তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (উত্তর) মো.কামরুজ্জামান। আদালতের নির্দেশে সেই আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে আর্মড ফোর্সেস ফুড এন্ড ল্যাবরেটরিজ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সিআইডিতে।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৩, ২০১৫)