সিলেট প্রতিনিধিঃ সোমবার সিলেট আদালত চত্বরে রাজনের চাচা আবদুল মালেক ও মামা ওমর ফারুক বলেন, মামলার অন্যতম আসামি চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না ‘বলাৎকার’ করতে চেয়েছিলেন রাজনকে।তাদেরঅভিযোগ ময়নার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির নাটক সাজিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ময়নাসহ দুইজনকে খুঁজছে পুলিশ। পলাতক অন্যরা হলেন- আলী হায়দার ওরফে আলী ও কামরুল ইসলাম।

সোমবার আসামি মুহিতের রিমান্ডের আবেদনের শুনানির পর সিলেট আদালতে চত্বরে রাজনের চাচা আব্দুল মালেক ও মামা ওমর ফারুক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ওমর ফারুক বলেন, “ময়না চৌকিদারের চরিত্র নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে ছোট ছেলেদের সঙ্গে খারাপ কাজ করে।”

রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মা লুবনা অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তার মুহিতের ভাই কামরুল ইসলাম ঘটনার পরদিনই সৌদি আরব চলে গেছেন।

এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, কামরুলের অবস্থান সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।

“ঘটনার পরপরই কামরুল যাতে বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসত।”

তবে পুলিশ আরও বলছে, রাজনকে নির্যাতনে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

(এলপিবি/জুলাই ১৩, ২০১৫)