দীপক চক্রবর্তী,মাগুরা থেকে :  গলাকাটা ও ছেলে ধরা আতঙ্কে মাগুরা জেলার চার উপজেলার ৫শতাধিক গ্রামের মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। রাত হলেই কোননা কোন গ্রামেই শোনা যাচ্ছে চিৎকার -চেচামেচি। প্রশাসন বলছে গুজব।

সম্প্রতি শালিখার উজগ্রাম, তালখড়ি, সেওজগাতী, দীঘলগ্রাম, ভাটোয়াইল, দরিলক্ষ্মীপুর, টিওরখালী, চুকিনগর, আড়পাড়া, দরিশলই, ফুলবাড়ি, কুমারকোটা, পুকুরিয়া, আনন্দনগর, বরইচারা, মাগুরা সদর উপজেলার হাটলক্ষ্মীপুর, কাপাসহাটি, রাঘবদাঁইড়, বেঙ্গা, বেরুইল, বড়শলই, চাপড়া, জাগলা, মাচগ্রাম, বুধইরপাড়া, লস্করপুর, মঘিসহ শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক গ্রামের মানুষ গলাকাটা ও ছেলে ধরা আতঙ্কে রাতের পর রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। কোথায়ও কোন ঘটনা ঘটলেই সোরগোল পড়ে যাচ্ছে গলাকাটা বা ছেলে ধরা এসেছে। আর সাথে-সাথেই গ্রামের মানুষ চিৎকার চেঁচামেঁচি করে খোঁজা খুঁজি শুরু করছে সারা রাত ধরে।

তেমনি গত ১৩ জুলাই সোমবার রাতে শালিখা উপজেলার উজগ্রামে এমনি ঘটনা ঘটে। উজগ্রামের ভ্যান চালক টিপু বিশ্বাস জানায় প্রতিরাতের ন্যায় সোমবার রাতে আমি ১১টার দিকে ঘুমাতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আমার মার শয়ন ঘরের জানালায় কে বা কারা টোকা দিতে থাকে। আমার বয়োবৃদ্ধা মা শব্দ শুনে কে-কে বলে চিৎকার দিলে তারা দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করে। মায়ের চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে চিৎকার করলে গ্রামবাসী আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। কিন্তু অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও কারও কোন হদিস পাইনি।

শুধু তাই নয় একই রাতে অনুরূপ ঘটনার ফলে কুমারকোটা, ফুলবাড়ি, তালখড়ি, টিওয়রখালী, আড়পাড়াসহ প্রায় ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ গলাকাটা বা ছেলে ধরা আতঙ্কে রাতভর চিৎকার -চেঁচামেঁচিসহ খুঁজা-খুঁজি করে শেষে কারও কোন হদিস না পেয়ে স্ব-স্ব ঘরে ফিরে যায়।

এব্যাপারে শালিখা থানার ওসি জানান, গলাকাটা বা ছেলে ধরা নিছক একটা গুজব মাত্র। সরকারের ভাব মুর্ত্তি ক্ষুন্ন করার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এ গুজব ছড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।

(ডিসি/এসসি/জুলাই১৪,২০১৫)