সিলেট প্রতিনিধি :সিলেটে শিশু সামিউল আলমকে (রাজন) নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না। আজ সোমবার বিকেলে রিমান্ড শেষে ময়নাকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন।

আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (আদালত) আবদুল আহাদ বলেন, রাজনকে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ত থাকার কথা ময়না স্বীকার করেছেন। তাঁর দেওয়া জবানবন্দি ও ঘটনার ভিডিওচিত্রের মিল রয়েছে। ময়না মামলার এজাহারে নাম থাকা করা চার আসামির একজন।

পুলিশ জানায়, সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার পীরপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়না মিয়া কুমারগাঁও বাসস্টেশনের চৌকিদার ছিলেন। গত ৮ জুলাই সামিউল রাজনকে চোর অপবাদে ময়নাই আটক করে কুমারগাঁও বাসস্টেশন এলাকার একটি বিপণিবিতানের দোকানঘরের বারান্দার খুঁটিতে বেঁধে রেখেছিল। পরে সামিউলের ওপর একটানা প্রায় আধঘণ্টা চলে নির্যাতন। একপর্যায়ে সামিউল মারা গেলে ময়না পালিয়ে যান।

১৪ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় নির্যাতনকারীদের অন্যতম চৌকিদার ময়না মিয়াকেও জনতা পুলিশে দেয়। ময়নার মা ছমিরুননেছা ছেলের অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয় টুকেরবাজার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এনামুল হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এনামুল হোসেন জানান, ময়নাকে মূলত তাঁর মা-ই ধরিয়ে দিয়েছেন। পরদিন আদালত ময়নার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

(ওএস/এসসি/জুলাই২১,২০১৫)