গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি ইউনিয়নে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২'শ ৯০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন জমাদ্দার ও সাবেক চেয়ারম্যান সাজিদুর রহমান মন্টুসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা সদরসহ টুঙ্গিপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, গতকাল বুধবার রাতে নিহত স্বপ্না বেগমের স্বামী এসকেন্দার বিশ্বাস বাদী হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেনসহ ৪০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করে। এছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজ ভূঁইয়া বাদী হয়ে পুলিশকে আহত করা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় ওই দুই চেয়াম্যানসহ ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াইশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত স্বপ্না বেগমের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বর্ণি গ্রামের ৫টি স্থানে পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকালে বর্ণি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি যাওয়ার রাস্তার ইট উঠানো কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন জমাদ্দার সমর্থক লাশু জমাদ্দার ও সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থক হুসাইনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে উভয় দলের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বর্ণি মধ্যপাড়া গ্রামের এসকেনদার বিশ্বাসের স্ত্রী স্বপ্না বেগমসহ ২৫জন আহত হয়। পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ সময় টুঙ্গিপাড়া থানার এস.আই মোজাহিদুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

(এমএইচএম/এলপিবি/জুলাই ২৩, ২০১৫)