মাগুরা প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা সদর উপজেলার রুপদহ সুন্দরপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নান্নু শেখ (৪৫) নামে এক নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ২৫ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি আহত আাছাদুজ্জামান জানান, এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুজিৎপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহুর মোল্লার সাথে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকলাস সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছে। যা গত ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদে উপ-নির্বাচন নিয়ে চরম আকার ধারণ করে।

জহুর মোল্লা সমর্থকেরা আওয়ামীলীগ প্রার্থী রুস্তম আলীর ঘোড়া প্রতীকের পক্ষ নিয়ে কাজ করেন অপরদিকে ইকলাস সমর্থকেরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু নাসির বাবলুর আনারাস প্রতীকের পক্ষ নিয়ে নির্বাচনী কাজে অংশ নেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জয়-পরাজয় নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে জহুর মোল্লা সমর্থকেরা নান্নু শেখের উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ও তার সমর্থিত লোকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর-লুটপাট চালায়। এ ঘটনার পর-পর উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম ২০ জনকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর আহত নান্নু শেখের মৃত্যু হয়।

শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়ির এসআই শেখ আবু হেনা মিলন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে । পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(ডিসি/এলপিবি/জুলাই ২৩, ২০১৫)