ফরিদপুর প্রতিনিধি :  জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আলী আহসান মুজাহিদের মামলার অন্যতম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা এ,কে,এম আবু ইউসুফ পাখি তার বিরুদ্ধে ভাই-বোনদের আনীত অভিযোগের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পাখি তার লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত শিবির রাজাকাররা খুব সুক্ষ্ম ভাবে সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য এবং আমাকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। যে কাজটি তারা এতদিন পারেনি এখন তারা আমার ভাই-বোনদের সাথে বিরোধ লাগিয়ে করার চেষ্টায় লিপ্ত।

তিনি আরো জানান, তার বাবারা দুই ভাই, তার চাচা বিয়ে না করার কারণে তিনি ছিলেন নিঃসন্তান তিনি মারা যাওয়ার আগে তার চাচা পাখির স্ত্রীর নামে ৬ শতাংশ জমি ১৯৯১সালে ওসিওত করে দিয়ে যান। যারা সাক্ষী ছিলেন তারা অনেকে জীবিত আছেন। ৪০ বছর যাবত ঐ জমিতে আমার বসবাস, সেই সময় আমার ভাই-বোন কোন কিছু না বললেও গত কিছুদিন যাবত তারা আমার পিছনে লেগে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভয়াবহ নির্যাতন সহ্য করেছি পাকবাহীনির, জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এখন আমার ভাই-বোনরা জমিজমার কারণে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে জানান, আপনারা থেকে সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচার করে যে রায় দেবেন আমি তাই মাথা পেতে মেনে নেব।

পাখির স্ত্রী সাবেক কমিশনার শাহান বেগম জানান, আমার চাচা শ্বশুর অনেক টাকা লোন রেখে মারা যান আমি সেই টাকা পরিশোধ করেছি তার মৃত্যুর পরে। তখন তারা খোঁজ নেয়নি। এখন আমার দেবর ননদরা আমার স্বামী ছেলে-মেয়েকে জমি-জমার কারণে বিপদে ফেলতে চাইছে।

প্রবীন সাংবাদিক মুন্সি হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের আহবায়ক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল, আহবায়ক কমিটির সদস্য আশিষ পোদ্দার বিমান, সালামত আলী খান, পান্না বালা, হেমায়েত হোসেন হিমু, নাজিম বাকাউল, সঞ্জিব দাস, মোঃ হায়দার খান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আসাদুল ইসলাম আসাদ, ফরহাদ হোসেনসহ পাখির পুত্র ও কন্যাসহ পরিবারের সদস্যগণ।

(এসডি/এসসি/জুলাই২৭,২০১৫)