সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে মহানগরের জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রবিবার রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশের রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার আদেশ জারি করা হয়।

সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমতউল্লাহ।

এর আগে একই অভিযোগে জালালাবাদ থানার এসআই জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলামকেও বরখাস্থ করা হয়েছিল। এ নিয়ে রাজন খুনের ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৮ জুলাই সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা শিশু সামিউলকে চোর সন্দেহে আটক করে কুমারগাঁও বাসস্টেশনে দোকানঘরের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে সামিউল মারা গেলে লাশ গুম করার চেষ্টা হয়। এ সময় জনতা মুহিত আলম নামের একজনকে ধরে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করে।

নির্যাতনকারীরাই এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এ ঘটনার চার দিন পর সামিউলকে নির্যাতন করার ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ হলে এ নিয়ে দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। একে একে ধরা পড়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১২ জন। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার শুরুতে পুলিশের গাফিলতি থাকায় জড়িতরা পলাতক ছিল।

শিশু সামিউলকে হত্যার পরপরই তার বাবা শেখ মো. আজিজুর রহমানের অভিযোগ পুলিশ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠে। গত ১৪ জুলাই জালালাবাদ থানার এসআই আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে মহানগর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির প্রধান ও মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএ রোকনউদ্দিন ৪২৪ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দেন। এই প্রতিবেদনে পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরই আলমগীর হোসেনকে বরখাস্ত করা হলো।

(ওএস/এএস/জুলাই ২৭, ২০১৫)