বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলায় চার মাসের অন্তঃসত্বা এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল হাওলাদার (২৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।

গৃহবধুকে (১৮) বুধবার সকালে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ২৭ জুলাই সকালে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের চাল রায়েন্দা গ্রামের বলেশ্বর নদী সংলগ্ন একটি ইটের ভাটার কাছে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গেলে ওই লম্পট তাকে ধরে একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটানর পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।

ধর্ষিতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৭ জুলাই সকাল ৯ টার দিকে বলেশ্বর নদীর পাশে ইট ভাটার কাছে তাদের একটি ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। এসময় ইট ভাটার আড়ালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশি খয়ের হাওলাদারের বখাটে ছেলে সোহেল তাকে জাপটে ধরে একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। এ সময় ওই গৃহবধু চার মাসের অন্তঃসত্বা বলার পরেও লম্পট সোহেল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মানসম্মানের ভয়ে ওইদিন ঘটনার বিষয়ে বাড়ির কাউকে বলেননি তিনি। পরের দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এসময় তার ভ্যান চালক স্বামী ও পরিবারের লোকজন ধর্ষণের কথা জানতে পারেন। পরে তারা থানায় অভিযোগ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, ধর্ষণের বিষয়টি ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। গৃহবধু শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নখের অঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে তার গর্ভে থাকা সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাম পুলিশ আ. আজিজ হাওলাদার জানান, সোহেল খুব খারাপ ছেলে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জমাদ্দার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বর্তামেন তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় ঘটনা সম্পর্কে সঠিক কিছু বলতে পারেননি।

শরণখোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, ঘটনার একদিন পর ওই গৃহবধু উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

(একে/এলপিবি/জুলাই ২৯, ২০১৫)