রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের দেনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় শতাংশ জমি দখল করে প্রভাবশালী কয়েক ব্যাক্তি ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। দখলকৃত জমির মুল্য প্রায় ২০লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীরা। এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা যায়, অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের জমিতে নির্মান কাজ বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহা বেগম বকুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারনে ৮ দিনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ জমি রয়েছে। এতে ১৯০ ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করছে। কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ের ওই জমির ছয় শতাংশ দেনায়েতপুর গ্রামের আবু বকর মো: লুৎফুর রহমান তাঁর ব্যাক্তি মালিকানাধীন মিকতাহুল উমুল কওমী মাদরাসার দাবি করে লক্ষ্মীপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি অস্থায়ী নিষোধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থায় বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় আদালতের নিষোধাজ্ঞা অমান্য করে আবু বকর লোকজন নিয়ে ওই জমিতে টিনসেট ঘর নির্মান করে। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়পুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে আদালত উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী ও দাখিলীয় দলিলসহ কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ওই ছয় শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের বলে রায় প্রদান করেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবু বকর লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে আবু বকর মো. লুৎফুর রহমান বলেন,‘ বিদ্যালয়ের যে ৫০ শতাংশ জমি রয়েছে বলে কথা বলা হচ্ছে-তাতে জালিয়াতি করা হয়েছে। গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা বসে ঘটনাটি আপসনামা করে দিয়েছে। এজন্য আমরা ভবন নির্মাণ করছি’।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মন্জুরুল হক আকন্দ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি। ব্যস্ত থাকার কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(পিকেআর/এএস/মে ২১, ২০১৪)