আহসানুল করিম,বাগেরহাট :লাগাতার বৃষ্টিপাত ও নদীতে প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলায় সাতটি পয়েন্টে বাঁধের ৫১০ মিটার ভেঙে গেছে।

বিভিন্ন এলাকায় আরো ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময়ে ভেঙে একের পর এক গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হতে হওয়ার আশঙ্কা গ্রামবাসীর। ক্ষতিগ্রস্ত নদী পাড়ের মানুষ দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ভাঙ্গন কবলিত রাধাবল্লব এলাকায় মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, লাগাতার বৃষ্টিপাত এবং নদীতে প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোরেলগঞ্জ, মোল্লাহাট ও রামপাল উপজেলায় সাতটি পয়েন্টে তাদের বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলার কুলিয়াদার এলাকায় ভৈরব নদীর পাড়ে ৫০ মিটার, রাধাবল্লব এলাকায় ৬০মিটার, বিষ্ণুপুর এলাকায় ৭০ মিটার, রামপাল উপজেলায় বিসনা নদীর খেগড়াঘাট এলাকায় ১০০ মিটার, মোরেলগঞ্জে পানিগুছি নদীর কুমারীজোলা এলাকায় ৫০ মিটার, চিতলমারী উপজেলায় মধুমতি নদীর পরানপুর এলাকায় ১৫০ মিটার ও মোল্লাহাটের আস্তাইল এলাকায় ৩০মিটার বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১৮ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৬০ কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনদ্দীন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাধ ভাঙ্গন কবলিত জেলার শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার রাধাবল্লব, যাত্রাপুর এলাকার বাঁধে জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা সর্তকতার সাথে নজরদারী করছেন যাতে ভেড়িবাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে না পারে। ভাঙ্গন ঠেকাতে লিখিত ভাবে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের কাছে বরাদ্ধের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।



(একে/এসসি/জুলাই 30,২০১৫)