বাগেরহাট প্রতিনিধি : অবিরাম বর্ষণে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তিনটি ভাবনের শতাধিক কক্ষ ঝুকিপূণ হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ওই ভাবন গুলোর ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজসহ গুরুত্বপূণ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। ভবনের ছাদ ও পিলারে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাঁটল।

কয়েকটি কক্ষ অধিক ঝুকি পূর্ণ ও অযোগ্য হওয়ায় কাঠের বল্লি (খুটি) দিয়ে ভাবনের ছাদে ঠেস দেওয়া হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ কক্ষগুলোর মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যায়গা না থাকায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কক্ষে পলিথিন মুরি দিয়ে গুরুত্ব কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। এঅবস্থায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে ভবন গুলোর সংঙ্কার করা না হলে বড় ধারণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখ গেছে, অধিকাংশ কক্ষগুলোর ছাঁদের পলেস্তার খসে পড়ছে এবং ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ে আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে। গনপূর্ত বিভাগের পরামর্শে জেলা প্রশাসন অধিক ঝুকিঁপূর্ন কয়েকটি কক্ষে বল্লি (গাছ) দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে। এঅবস্থায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় ও আদালত এবং রাজস্ব শাখা, জুডিশিয়াল মুন্সি খানাসহ অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস কাযক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি তিন তলা ও দুটি দ্বিতল ভবনের ছাত চুয়ে পানি পড়ছে। বৃষ্টির পনিতে বিভন্ন দফতরের মূল্যবান নথি পত্রসহ আসবাব, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক কর্মকর্তারা বাধ্য হয়ে পলিথিন মুড়ি দিয়ে কাজ করছেন। এতে একদিকে যেমন দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে একই সাথে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জন সাধারণ।এঅবস্থায় দ্রুত নতুন ভবন নির্মান অথবা ঝুকিপূণ ভবনগুলো সংষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


(একে/এসসি/জুলাই ৩০,২০১৫)