বান্দরবান প্রতিনিধি :সপ্তাহ জুড়ে প্রবল বর্ষণের কারণে বান্দরবান-রুমা-থানছি সড়ক ধ্বসে পড়েছে। ফলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানছি উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বান্দরবান থেকে এই ২ উপজেলার সংযোগ সড়কের ১৫-১৬ কিলোমিটার এলাকায় বিশাল একটি পাহাড় ধ্বসে নিচে নেমে যায়। এতে ২০০ মিটার সড়ক পুরোটাই ধ্বসে পড়ে। ধ্বসে পড়া সড়ক ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

এ ছাড়াও রুমা এবং থানছি সড়কের অধিকাংশ এলাকায় পাহাড়ের ধ্বস নামে। থানছি সড়কের জীবন নগর ও নীলগিরি অংশেও সড়ক ধ্বসে পড়ে। ফলে পুরো সড়কটি ঝুকিপূর্ণ এবং যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত বেষ্ঠিত রুমা ও থানছি উপজেলার ৫০ হাজার মানুষসহ সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার সৈনিকের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে পর্যটকরা নীলগিরি, বগালেক, কেউক্রাডংসহ দুর্গম এলাকার পর্যটন স্পট গুলোতে বেড়াতে যেতে পারছেন না। চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, সড়কটি ধ্বসে পড়ায় তাদের চালাচল ও দাপ্তারিক কাজে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

স্কুলের শিক্ষকদের ৩-৪ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে গিয়ে স্কুল চালাচ্ছে হচ্ছে। এই রুটে চলাচলকারী গাড়ীর চালকরা জানান, সড়ক ধ্বসে পড়ার কারণে তারা বেকার হয়ে পড়েছে। পর্যটক থাকার পরও পর্যটকদের নিয়ে নীলগিরি, চিম্বুকসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যেতে পারছেন না। দুভোর্গের শিকার চলাচলকারীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধ্বসে পড়া সড়কটি সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এদিকে রুমা ও থানছি সড়ক সেনা বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্বাবধানে হওয়ায় সড়কটি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ শুরুর কথা জানালেন সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদেক মাহমুদ। তিনি জানান, অতিবৃষ্টির কারনে বান্দরবান-চিম্বুক সড়ক পাহাড় ধ্বসের কারণে ২ মিটার সড়ক ধ্বসে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে খুব শিগ্রই সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। তবে কবে নাগাদ সড়ক যোগাযোগ স্বাভবিক হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি।



(এএফবি/এসসি/জুলাই৩০,২০১৫)