স্টাফ রিপোর্টার: শুক্রবার রাত আড়াইটায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে বান্দরবানের লামা উপজেলা সদরের হাসপাতাল পাড়ায় ৩ পরিবারের ৪ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।

আহত অবস্থায় উদ্ধার করা আরাফাত হোসেন (১২) শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। ফলে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫-এ। মাটিচাপা পড়েছে আরও ৩ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার লেদু মিয়া লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মাটিচাপা পড়াদের উদ্ধারে কাজ চলছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে সহায়তা করছেন।

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ এবং পৌর মেয়র আমির হোসেন আমু শনিবার সকালে জানান, প্রবল বর্ষণজনিত কারণে পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ে হাসপাতাল পাড়ায় ৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। মাটিধসে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রোজিনা আক্তার (৩৪), তার পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (৫) ও পুতু (১০)। অপর পরিবারের আমেনা বেগম (৩৫) নিহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় আরাফাত হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। মাটিচাপা পড়ে রয়েছেন মো. বশির (৫৫), জিকু মাষ্টার (৮০) এবং ফাতেমা বেগম (৮)। তাদেরকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষ কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকালে নিহত ৫ জনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

লামা উপজেলায় পাহাড় ধসের অতিঝুঁকিতে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলেও অনেকেই ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে এখনও বসবাস করছেন।

নিরাপদ আশ্রয়স্থল না থাকায় পাহাড় ধসের কারণে প্রতিবছরই বর্ষায় অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং শত শত বাড়ি-ঘর ধসে পড়ে। ব্যাপক বনজ ও ফলজ বাগানের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।

(ওএস/এলপিবি/ আগষ্ট ১, ২০১৫)