সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে গত দু’দিন ধরে সোনাগাজী উপজেলার উপকুলীয় ১০টি গ্রাম জোয়ারের লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

শনিবার বিকেলে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ধানগবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায়, সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে ৬নং চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া, পুর্ব বড়ধলী, চরদরবেশ ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম, ২৬ নং চর, ৮নং সুইজ গেইট, সোনাগাজী ইউনিয়নের চরখোন্দকারসহ অন্তত ১০টি গ্রাম ৬/৭ ফুট জোয়ারের লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, ওই সব গ্রামে শত শত মাছের ঘের, বীজতলা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। যার কারণে ৮০ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে যায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজসেবক সাহাব উদ্দিন জানান, গত দু’দিন প্রবল জোয়ারে কয়েকটি গ্রামে রাস্তা ঘাট, বাড়ি ঘর, বিভিন্ন পুকুরের মাছ ও শতাধিক মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। যার কারণে এ অঞ্চলের মানুষ নি:স্ব হয়ে পড়েছে। অনেকের বাড়ি ঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে রান্না করতে পারছে না। এভাবে আরো ২/১দিন অব্যাহত থাকলে এসব অঞ্চলের মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে।

উপকুলীয় এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে প্রতি বছরের জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা করতে হলে ইছাখালি মুছাপুর রেগুলেটর পর্যন্ত প্রায় ২০কি:মি: বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা অতীব জরুরী। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী রমজান আলী প্রামানিক জানান, আউটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে অচীরেই আমরা আউটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করব। এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানান, জোয়ারের পানিতে উপকুলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি আমরা অবগত আছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে এব্যাপারে অচীরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এনএমবি/অ/আগস্ট ০১, ২০১৫)