নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে খুলনার ডুমুরিয়া থানার সাময়িক বরখাস্তকৃত ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (৩১) মারধর করেন বলে অভিযাগ রয়েছে। আহত শামীমাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামী নড়াইল শহরের ভওয়াখালীর বাড়িতে তাকে মারধর করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাচইধানাইড় গ্রামের কামাল হোসেনের সাথে নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরের মুক্তার হোসেনের মেয়ে শামীমা নাসরিনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শামীমাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। বিষয়টি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ আত্মীয়-স্বজনকে জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

সম্প্রতি শামীমার মায়ের দুর্গাপুরের ২৪ শতক জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন পুলিশ কর্মকর্তা কামাল। টাকা দিতে অস্বীকার করায় শনিবার রাতে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। শামীমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। শামীমার মা রাশিদা বেগম জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার নামে অহেতুক দুর্নাম দিয়েছে। যৌতুকের দাবি এবং নির্যাতনের কোনো ঘটনা হয়নি।’ নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আছাদুজ্জামান মুন্সী জানান, গৃহবধূ শামীমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মসিউর রহমান জানান, কামাল হোসেন ডুমুরিয়ায় ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রায় সাত মাস আগে খুলনা পুলিশ অফিসের দুইতলা থেকে এক আসামি লাফিয়ে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় তাকে (কামাল) সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। পরে কামাল হোসেন ঢাকা রেঞ্জে যোগদান করেন।

(টিএআর/এএস/আগস্ট ০৩, ২০১৫)