গাজীপুর প্রতিনিধি : ঝগড়ার এক পর্যায়ে আনিছুর বটি দিয়ে স্ত্রী মৌসুমীর মাথা ও গলায় এলোপাথাড়ি কোপ দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই মৌসুমীর মৃত্যু হয়। স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে নতুন ফন্দি আটে আনিস। ‘কঠিন অসুখে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দাফন-কাফন এবং গ্রামের বাড়িতে লাশ নেওয়ার সামর্থ নেই’ এমন কথা বলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সাহায্য উঠাতে শুরু করে। দেড় হাজার টাকার মত উঠানোর পর স্ত্রীকে খুনের কথা ফাঁস হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতক আনিসকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ১০ টাকা ও ৫ টাকার নোট মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকা, কাফনের কাপড় ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি জব্ধ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার টঙ্গীর দক্ষিণ আউচপাড়া বেঙ্গলের মাঠ বস্তিতে।

ঘাতক আনিসুর রহমান (৩২) দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া উপজেলার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। খুন হওয়া মৌসুমী পঞ্চগড় জেলা সদরের আমলাহার গ্রামের মনজুর হকের মেয়ে।

পুলিশ ও বস্তিবাসী সূত্রে জানা গেছে, আনিসুর রহমান পূর্বের ৪ বিয়ের খবর গোপন রেখে ৭-৮ মাস আগে মৌসুমীকে বিয়ে করে। স্ত্রীকে নিয়ে সে টঙ্গীর বেঙ্গলের মাঠ বস্তির সিরাজের বাড়িতে ভাড়া থাকত। একেক সময় একেক কাজ করে সে সংসার চালাত। সম্প্রতি মৌসুমী স্বামীর ৪ বিয়ের খবর জানতে পারে। এনিয়ে গত ৫ মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার সকালে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে পাষন্ড আনিস বটি দিয়ে মৌসুমীকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে স্ত্রী মারা গেছে এমন গল্প ফেঁদে মাথায় টুপি লাগিয়ে লাশ দাফন এবং বাড়ি নেওয়া কথা বলে কেঁদে-কুটে লোকজনের কাছে আর্থিক সাহায়্য চায়। দেড় হাজার টাকা উত্তলনের পর বস্তির লোকজন খুনের ঘটনাটি জেনে যায়। পরে তারা পুলিশকে জানায়। কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ আনিসকে গ্রেপ্তার করে।

টঙ্গী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, মৌসুমীর মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(এসএএম/পি/অাগস্ট ০৫, ২০১৫)