বোয়ালমারী(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:বোয়ালমারীতে সরকারি চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হতে না হতে বন্ধ হয়ে গেছে। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসিএলএসডি) বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুষ দাবির অভিযোগ জানিয়ে মিলাররা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর দরখাস্ত করেছেন।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২শ টন চাল সরবরাহের জন্য উপজেলার সাতজন মিলার সরকারের সাথে গত ৩১ মে চুক্তিবদ্ধ হন। ১৫ দিনের মধ্যে চাল সরবরাহের নির্দেশনা থাকে ওই চুক্তিপত্রে। মিলাররা চাল প্রস্তুত করে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামকে জানালে তিনি প্রতি টন চালে চার হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে চাল সংগ্রহ করা হবেনা বলে জানান।

নানারকম হয়রানীর পর গত ২৮ জুলাই মেসার্স সোতাশী রাইচ মিলের মালিক একেএম সাহিদুল আলম (ঢাকা মেট্রিা ট-১৪-৪২১৫) ট্রাকে করে ২০ মে.টন চাল গুদামে নিয়ে যান। পাঁচদিন ঘুরিয়ে ২ আগস্ট নয় টন চাল খালাস করে বাকি চাল ফেরত দেন।

মিল মালিক সমিতির সভাপতি একেএম সাহিদুল আলম বলেন, টন প্রতি চার হাজার টাকা ঘুষ দিলে মিলারর লাভের বদলে লোকসানে পড়বে। তাকে দেড় হাজার টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় কিন্তু তিনি রাজি হননি। সরকারের সাথে চুক্তি করতেও প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রায় দুই মাস চাল তৈরি করে মিলে রাখায় আদ্রতা বেড়ে গিয়ে চালের মান দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ৬ দিনের জন্য অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া দিতে হয়েছে। ফখরুল ইসলাম চাল না নিয়ে উল্টো প্রস্তাব দিয়েছে যে, চাল তিনি (ওসিএলএসডি) অন্যভাবে সংগ্রহ করে নেবে মিলাররা লাভের টাকা নিয়ে স্বাক্ষর করে দিবে।

ঘুষ দাবি ও অন্যভাবে চাল সংগ্রহের প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) বলেন, গুদামে নেওয়া চালের মান ভাল না হওয়ায় তিনি চাল ফেরত দিয়েছেন। মান সম্পন্ন চাল না হলে তিনি চাল সংগ্রহ করবেন না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের আচরণ ভাল না। সে একটা বেয়াদব। আমার কোন কথাও সে শোনেনা। তার বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(কেএইচএফ/এসসি/আগষ্ট০৬,২০১৫)