ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির আপিলের শুনানি ১৬ আগস্ট
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি ১৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার(এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আজ আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট এএফএম মেসবাহ উদ্দিন।
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা আবেদনের ওপর আপিলের শুনানির আদালত ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। এর আগে গত ৮ জুলাই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ চেয়ে শিক্ষার্থীদের করা হাইকোর্টের রিট আবেদন খারিজ করে দেয়।
ওইদিন রায়ের পর যারা এইচএসসি পাস করবেন, কেবল তারাই ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। এ বছর পাস করা কোনো শিক্ষার্থী আর আগামী বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন না। ওই দিন রায় ঘোষণার পর দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু কিছু শিক্ষার্থী আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সে সময় টানা কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অনশন কর্মসূচি পালন করে। এরপর ভর্তিচ্ছুদের ২৬ জন অভিভাবক বাদী হয়ে গত মার্চে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
১৬ মার্চ রিট আবেদনটির ওপর প্রাথমিক শুনানির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল। একই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আগের মতো দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ রেখে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তাও জানতে চান আদালত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরীক্ষা কমিটির সম্পাদক, সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক-২), ইউজিসি চেয়ারম্যান ও শিক্ষা সচিবকে এর জবাব দিতে বলা হয়।
আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে জারি করা রুল খারিজ করেন। ওই খারিজের বিরুদ্ধে ২৬ অবিভাবকের পক্ষে গত ২৭ জুলাই চেম্বার জজকোর্টে আপিল নিয়ে যাই। পরের দিন ২৮ জুলাই চেম্বার জজ বিষয়টি শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেন। আজ ওই আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি করে ১৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন।
(ওএস/এএস/আগস্ট ০৬, ২০১৫)