বাগেরহাট প্রতিনিধি :অন্য সহপার্টিদের মত বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে প্রথম সাময়িক পরিক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ইবাদ। কিন্তু পরিক্ষা তো দেয়াই হয়নি এখন সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত রবিবার বাগেরহাট সদর উপজেলার উত্তর খানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে আসা স্থানীয় বখাটে সলেমান চাকলাদার দুপুরে কোন কারন ছাড়াই তাকে স্কুলের ক্লাশ রুমের ভিতর ঢুকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহতাবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র ইবাদ (৯) বাগেরহাট সদরের উত্তর খানপুর গ্রামের আজমল শেখের ছেলে। বর্তমানে গুরুতর আহতাবস্থায় খুলনার একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে স্কুল ছাত্র ইবাদ। এঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র ইবাদের পিতা আজমল শেখ জানান, অন্যান্য ছেলেদের সাথে তার ছেলে বিদ্যালয়ে পরিক্ষা দিতে যায়। এসময় শ্রেনী কক্ষের একটি বেঞ্চ বসা নিয়ে অন্য সহপাঠির সাথে ঠেলাঠেলি হয়। এসময়ে ওই স্কুলের এক শিক্ষকের কাছে ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে আসা স্থানীয় বখাটে সলেমান চাকলাদার স্কুলের ক্লাশ রুমের ভিতর ডুকে ইবাদকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়।

সলেমান চাকলাদার একই এলাকার রফিক চাকলাদারের ছেলে। ইবাদ অজ্ঞান অবস্থায় গুরুতর আহত হয়ে স্কুরে পড়ে রয়েচে এমন খবর পেয়ে তার পিতা ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি করে। বাগেরহাট হাসপাতালে আহত ইবাদের অবস্থার অবনতি হয়ে সোমবার দুপুরে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইবাদের অবস্থার একনো কোন উন্নতি হয়নি বলে তার পিতা জানান।

ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় তিনি এবিষয়ে এখনো থানা পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ জানাতে পারেননি বলে জানান।

এবিষয়ে উত্তর খানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঃ খালেক জানান, সলেমান চাকরাদার নামে এলাকার এক বখাটে দুপুরে স্কুলের ক্লাশ রুমে ঢুকে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ইবাদকে কোন কারন ছাড়াই মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। অন্য ছাত্রদের কাছে তিনি শুনেছেন আহত ছাত্রটির কোন দোষ ছিল না।

বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলেও ওই শিক্ষক দাবি করেন।

(ওএস/এসসি/আগষ্ট ০৮,২০১৫)