গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের আনিচ কাজী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে এ ঘটনায় জড়িত তিন হত্যাকারী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুইজন আজ মঙ্গলবার এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃত্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ২৯ জুলাই রাতে ওই ভ্যান চালককে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। পরের দিন ৩০ জুলাই সকালে সে মারা যায়।

পুলিশের এক প্রেস নোটে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের কাটাতারের বেড়ার পাশ থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রধান সন্দেহভাজন রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও আবু সাইদ কাজী (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে রোমান শেখ নামে এক যুবকে ও গ্রেফতার করা হয়। এদের সবার বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায়।

টুঙ্গীপাড়া থানার পরিদর্শক নুর হোসেন জানিয়েছেন, আনিচ কাজী তার নিজের ভ্যানটি ২০ হাজার টাকায় টুঙ্গীপাড়ার গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। ক্রেতা নগদ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন এবং ৪ হাজার টাকা বকেয়া রাখেন। এই বাকী টাকা না দেয়ার জন্য তিনি নানা টালবাহনা করছিলেন।

গত ২৯ জুলাই রাত ৯ টার দিকে আনিচ কাজী পাওনা টাকা আনতে রফিকুলের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। ফিরতে দেরী হওয়ায় তার স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুজির পর মুখে বিষ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টুঙ্গীপাড়া হাসপাতাল ও পরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওইদিন ভোর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথিমধ্যে তিনি মারা যান।

(এমএইচএম/এএস/আগস্ট ১১, ২০১৫)