ঈশ্বরদী (পাবনা)প্রতিনিধি :ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে অতিবৃষ্টিতে কৃষক আক্কাসের ২০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আক্কাস আলী জমি খাজনা নিয়ে ১০ বছর ধরে সেখানে সবজি আবাদ করেছিলেন।

আশা ছিল এবারের সবজি বিক্রি করে বাড়িতে পাকা ঘর দেয়ার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুল-কলেজে ভর্তি করবে। কিন্তু অতিমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে ১৫ বিঘার পেঁপে এবং ৫ বিঘা জমির করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ সহ মোট ২০ বিঘা জমির সবজি গাছ মরে নষ্ট হয়ে গেছে।

আক্কাস আলী জানান, তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে কলেজে, আরেক মেয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ছোট মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। লিজ নেয়া ২০ বিঘা আবাদে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এবারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে স্বপ্ন ছিল ২২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করবেন। এখন জমির পানি নেমে যাওয়ার পর পেঁপে গাছের পাতা হলুদ হয়ে গাছগুলো ঝড়ে পড়তে শুরু করে। তিনি আরো জানালেন, মাত্র সামান্য কিছু টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পেরেছি। আশা ছিল পেঁেপ, করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ বিক্রি করে বাড়িতে একটি পাকা ঘর দিব এবং ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুল-কলেজে ভর্তি করাবো। কিন্তু প্রবল বর্ষণে জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আমার সে স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে। সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আমার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, জমির খাজনা এবং সংসারের খরচ যোগান দেয়া এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। হয়তো ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নেতা জানান, ১৭ বছরের মধ্যে ঈশ্বরদীতে এবারের মতো বৃষ্টিপাত আর কখনো হয়নি। এরকম বৃষ্টি ১৯৮৮ সালে একবার হয়েছিল। কৃষক আক্কাসের মতো এবারে আরো অনেকেই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সরকারের পক্ষ হতে কৃষক আক্কাসসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহযোগিতার জন্য তিনি সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে গাছ মরে ফসল নষ্ট হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং বাড়ি-ঘর নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাষনের স্থান না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রান্তিক কৃষক আক্কাস আলী জমি খাজনা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে সবজি আবাদ করলেও এযাবত ওই মাঠে কখনো বৃষ্টির পানি জমে নাই। এবাওে জলাবদ্ধতার কারণেই কৃষক আক্কাসের ২০ বিঘা জমির পেঁপে, করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ গাছ মরে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

(বিএম/এসসি/আগষ্ট১২,২০১৫)
ঈশ্বরদী (পাবনা)প্রতিনিধি :ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে অতিবৃষ্টিতে কৃষক আক্কাসের ২০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আক্কাস আলী জমি খাজনা নিয়ে ১০ বছর ধরে সেখানে সবজি আবাদ করেছিলেন। আশা ছিল এবারের সবজি বিক্রি করে বাড়িতে পাকা ঘর দেয়ার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুল-কলেজে ভর্তি করবে। কিন্তু অতিমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে ১৫ বিঘার পেঁপে এবং ৫ বিঘা জমির করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ সহ মোট ২০ বিঘা জমির সবজি গাছ মরে নষ্ট হয়ে গেছে।

আক্কাস আলী জানান, তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে কলেজে, আরেক মেয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ছোট মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। লিজ নেয়া ২০ বিঘা আবাদে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এবারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে স্বপ্ন ছিল ২২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করবেন। এখন জমির পানি নেমে যাওয়ার পর পেঁপে গাছের পাতা হলুদ হয়ে গাছগুলো ঝড়ে পড়তে শুরু করে। তিনি আরো জানালেন, মাত্র সামান্য কিছু টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পেরেছি। আশা ছিল পেঁেপ, করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ বিক্রি করে বাড়িতে একটি পাকা ঘর দিব এবং ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুল-কলেজে ভর্তি করাবো। কিন্তু প্রবল বর্ষণে জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আমার সে স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে। সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আমার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, জমির খাজনা এবং সংসারের খরচ যোগান দেয়া এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। হয়তো ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নেতা জানান, ১৭ বছরের মধ্যে ঈশ্বরদীতে এবারের মতো বৃষ্টিপাত আর কখনো হয়নি। এরকম বৃষ্টি ১৯৮৮ সালে একবার হয়েছিল। কৃষক আক্কাসের মতো এবারে আরো অনেকেই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সরকারের পক্ষ হতে কৃষক আক্কাসসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহযোগিতার জন্য তিনি সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে গাছ মরে ফসল নষ্ট হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং বাড়ি-ঘর নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাষনের স্থান না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রান্তিক কৃষক আক্কাস আলী জমি খাজনা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে সবজি আবাদ করলেও এযাবত ওই মাঠে কখনো বৃষ্টির পানি জমে নাই। এবাওে জলাবদ্ধতার কারণেই কৃষক আক্কাসের ২০ বিঘা জমির পেঁপে, করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ গাছ মরে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

(বিএম/এসসি/আগষ্ট১২,২০১৫)