ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টিতে পানি জমে ঈশ্বরদীর কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় জমির মালিক পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায়  ক্ষতির পরিমান বেশি হয়েছে।

শুধুমাত্র ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ার কারইেণ ঈশ্বরদীতে ৫০ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূনরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঈশ্বরদীর মোট ২’শ ৬৪ হেক্টর জমির বীজতলায় ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন মৌসুমে ফলন হবে না বলে অাশংকা করছেন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। ঈশ্বরদী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

কৃষি অফিসের সূত্র জানান, ঈশ্বরদীতে চলতি আমন মৌসুমে মোট ২’শ ৬৪ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘনঘন ও টানা বৃষ্টির কারণে বীজতলায় স্থায়ীভাবে পানি জমে ৫০ হেক্টর জমির বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ পানি শুকানো বা নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ মৌসুমে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

২’শ ৬৪ হেক্টর জমিতে কম বেশি পানি এখনও জমে আছে। কোনো কোনো এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকায় পানি নিষ্কাশন করা সহজ হচ্ছে। যেসব জমি হতে পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে, কেবল সেসব জমিতেই আমন ধানের ভালেঅ ফলন পাওয়া যাবে। তবে ফলনের পরিমান কেমন হবে তা এ মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে টানা রোদ না হলে আমন ধান উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি হবে ।

ঈশ্বরদীর ভবানীপুর, সরইকান্দি, কালিকাপুর ও ইস্তা এলাকায় ড্রেনেজ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ড্রেনের পাশে জমির মালিকরা ড্রেন বন্ধ করে রাখায় পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে এসব এলাকায় চলতি মৌসুমে আমন ধান উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ ও ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার এ মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন। পাশাপশি শুধু মাত্র বৃষ্টির কারণেই দেশের সবজি উৎপাদনকারী অঞ্চল বলে খ্যাত ঈশ্বরদীর সবজি চাষীরাও ইতিমধ্যেই মারাত্বক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন।

(এসকেকে/এএস/আগস্ট ১৪, ২০১৫)