ফেনী প্রতিনিধি: দীর্ঘ চার বছর সোনাগাজীর ওসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে সভাপতি/প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বের কারণে মামলা হামলা অর্থ হরিলুটের ঘটনা বার বার পত্রিকার শিরোনামে এলেও এখনো পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।

প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বাহির করে ইতিপূর্বে সভাপতি ও বগাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত মো. ইছাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করে স্কুলটাকে হরিলুটের আখড়ায় পরিণত করেছে। কৃত্রিমভাবে সমস্যা তৈরী করে তা নিষ্পত্তির জন্য শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা অফিসার, ইউ.এন.ও ও থানার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। যার ফলে স্কুলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একজন সদস্য ১০-৫-২০১৫ তারিখে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করলেও অদৃশ্য কারণে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার অদ্যবধি তদন্তের উদ্যোগ নেন নাই। ইতিমধ্যে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে হারাধন চন্দ্রনাথ, কামাল উদ্দিন ও আবুল খায়ের নামের তিন শিক্ষক প্রথম টাইমস্কেল গোপন রেখে ২য় টাইম স্কেল গ্রহণ করেছে বলে জেলা শিক্ষা অফিস বরাবরে জনৈক রুহুল আমিন অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগ আমলে নিয়া স্কুল পরিদর্শন ও অডিট করতে যান কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে জমা আছে বলে অযুহাত দেখিয়ে পরে শিক্ষা অফিসার বরাবরে প্রদান করবেন বলে জানান। কিন্তু অদ্যবধি তা প্রেরণ করেননি।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে একজন অযোগ্য লোক হিসাবে অখ্যায়িত করেন। গত ১ বছর পূর্বে নির্বাচনের মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা কমিটি নির্বাচিত হলেও প্রধান শিক্ষাক এবং সভাপতি যোগ-সাজসে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে অদ্যবধি কমিটি অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন নাই। বর্তমানে সমস্ত নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত উচ্চমূল্যে বাধ্যতামূলক কোচিং করিয়ে এলাকার নিরীহ ও গরীব ছাত্র-ছাত্রী থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। ইতিপূর্বে এসব বিষয়ে ১০-১২টি মামলা হয়। ঐ সব মামলায় এলাকার সাধারন ছাত্র-ছাত্রী ও নিরীহ জনগণকে আসামি করা হয়। অভিভাবকমহল উদ্বিগ্ন যে উক্ত স্কুলকে ঘিরে আবার যেন সংঘাত সংঘর্ষে মানুষ জড়িয়ে না পড়ে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

(এসএমএ/এলপিবি/আগস্ট ১৬, ২০১৫)