আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবার ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 
 

রবিবার দেশটিতে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যেই কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নেয়। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণাকালে সহিংসতায় এ পর্যন্ত চারজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক এন কে ইলানগাকুন বেলন, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র এবং গণনাকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার জন্য দেশজুড়ে পুলিশের ৬৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রয়োজনে তাদের সাহায্য করার জন্য আধা সামরিক বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে প্রেসিডেন্টসহ নানা পক্ষের বিরোধিতায় তার ক্ষমতায় ফেরা সহজ হবে না বলেই অনেকের ধারণা।

রাজাপাকসে প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় ছিলেন। গত ৮ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবাইকে বিস্মিত করে তিনি হেরে যান নিজ দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের (ইউপিএফএ) সাধারণ সম্পাদক মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে। সিরিসেনা এর আগ পর্যন্ত একজন মন্ত্রী ও রাজাপাকসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

দীর্ঘ ৩৭ বছরের তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াই অবসানে সাফল্যের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এখনো রাজাপাকসের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন এবার কোনো দলের পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সিংহলিদের ব্যাপক সমর্থন, নির্বাচনী সমাবেশে প্রচুর জনসমাগমের পরও রাজাপাকসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আরও বাধা আছে। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা এখন ইউপিএফএ জোটের প্রধান।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৭, ২০১৫)