নিউজ ডেস্ক : সালাদে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করি, কেউ আবার এটা রান্নায়ও ব্যবহার করেন। পিজ্জা বানাতে, চিংড়ির মালাইকারিতে ক্যাপসিকাম বাড়তি স্বাদ যোগ করে। কিন্তু ক্যাপসিয়াম যে শুধু একটি সুস্বাদু সবজিই নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এ এক অনন্য খাবার। আসুন জেনে নেই ক্যাপসিকামের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।

আমাদের দেশের বহু মানুষ হজম সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও আমাদের জন্য এক আতংকের নাম। ক্যাপসিকাম ওজন কমানোর জন্য খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে খুবই কম ক্যালরি থাকে। (২৩ ক্যালরি প্রতি কাপে) আর ক্যাপসিকাম ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই, আজ থেকে প্রতিদিন ক্যাপসিকাম খাদ্য তালিকায় রাখুন।

আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিকালের উপস্থিতি কোষ, স্নায়ু এবং রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ক্যাপসিকামে আছে ভিটামিন এ এবং সি যা শক্তিশালী এ্যান্টিওক্সিডেন্ট। এই এ্যান্টিওক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং হার্টের রোগ, অস্টিওআর্থারাইটিস, এ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

ক্যাপসিকাম ক্যান্সার উৎপাদক কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে এবং ভয়ংকর এই কোষকে মেরে ফেলে। তবে এটা তখনই পূর্ণ মাত্রায় সহায়ক হবে যখন মানুষ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ক্যাপসিকাম রাখবে।

ক্যাপসিকাম কিছু কিছু ব্যথা উপশমেও বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে। যেমন ক্যাপসিকামে আছে capsaicin নামক একটি উপাদান, যা চামড়া থেকে স্পাইনাল কর্ডের দিকে সঞ্চালিত ব্যথাকে প্রশমিত করে।

ক্যাপসিকাম ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং র‌্যাশ এবং পিম্পলের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়া ক্যাপসিকামে আছে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য খুবই উপকারী এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।

ক্যাপসিকাম থেকে এমন একটা উপাদান নির্গত হয়, যা চুলের দ্রুত বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে । এটা চুল পড়ে যাওয়াও রোধ করে। তাই সুন্দর এবং ঘন চুল পেতে আজ থেকেই খাদ্য তালিকায় ক্যাপসিকাম রাখুন।

ক্যাপসিকামে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ক্যাপসিকামের ভিটামিন সি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২১, ২০১৫)