রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণ, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকার ৩০ গ্রামের মানুষ গৃহবন্দী হয়ে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে।

একই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ও নদের তীরবর্তী এলাকাগুলো বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দুই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ এখন পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শনিবার খোঁজ খবর নিয়ে বন্যার এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে রৌমারী-রাজীবপুর-জামালপুর সড়কের (রৌমারী-ঢাকা রুট) একাধিক স্থান ধসে গেছে। এর ফলে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। চরম হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি। পাহাড়ি ঢলে বড়াইবাড়ি-যাদুরচর সড়কের একাধিক স্থান ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত ৫দিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে কৃষকের ঘরে ঘরে গবাদি পশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে সময় পার করছে।

রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, দু’একদিনের মধ্যে পানি সরে না গেলে রোপা আমনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে তার সীমান্ত এলাকার ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও রাজীবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে তাদের এলাকার ৭০ ভাগ এলাকা এখন প্লাবিত। মানুষজন ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না।

(আরএস/পিএস/আগস্ট ২২, ২০১৫)