মাদারীপুর প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর ডা. আ. লতিফ খান টিপু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

সোমবার রাত ৯টার সময় বার্ধক্যজণিত কারণে মাদারীপুর শিবচর পৌরসভার নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় এপ্রিল মাসে পাক হানাদার বাহিনী তাকে আটক করে যশোর ক্যান্টনমেন্টে দীর্ঘ ৮ মাস আটকে রাখে। এসময় তার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে মিত্র বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট মুক্ত করলে মুক্ত হন ডা. আ. লতিফ খান।

১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি মিডফোর্ড মেডিকেল কলেজে ছাত্র অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। সবার প্রিয় টিপু ডাক্তার নামে পরিচিত এই মানুষ ৬৯ এর গণ-অভুত্থানের সময় থেকে মুক্তিযুদ্ধের পরেও শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তার মৃত্যুতে মাদারীপুর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ডা. আবদুল লতিফ খান ওরফে টিপু ডাক্তার সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগিডিয়ার মো. সাইদুর রহমান খানের বাবা।

মৃত্যু কালে তিনি চার ছেলে, নাতি-নাতনী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তার মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন শোক প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার বাদ জোহর শিবচর পৌর এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম জানাজা এবং পরে খানকান্দি সৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরহুমের নিজ গ্রামের খানকান্দি পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শিবচর পৌর বাজারের সকল দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবচর বাজার বণিক সমিতি।

(এএসএ/এলপিবি/আগস্ট ২৫, ২০১৫)