বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জেকে বসেছে দুর্নীতি। চলছে পদে-পদে টাকা, অনিয়ম আর হয়রানীই। শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ যোগদানের পরে অর্থনৈতিক দুর্নীতি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।

মাত্র আড়াই বছরে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডার শিক্ষা কর্মকর্তার দূর্নীতির চিত্র তুলে ধর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এমতাবস্থায় সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি দুর্র্নীতিবাজ এই শিক্ষা অফিসারকে অন্যত্র বদলীর জন্য সচিবের কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন।

শিক্ষকরা জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুম বিল্লাহ শিক্ষক বদলী, স্লিপ বরাদ্দের টাকা, উপকরণ কেনা, ৯৮টি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ, ১৬০টি বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত, বাড়তি দামে প্রশ্নপত্র বিক্রি ও সাজেশন বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে গত আড়াই বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জাতীয়করণকৃত ১৬৫টি বিদ্যালয়ের সার্ভিস বই হালফিল করার জন্য সাড়ে ৬শ’ শিক্ষককের নিকট থেকে ১৫শ’ টাকা করে নিয়েছেন। এসব শিক্ষকদের প্রথম বিল করার জন্য আবারো তাদের নিকট থেকে ১৫শ’ টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কারনে মাসুম বিল্লাহকে অন্য কোথাও বদলী করে তাৎক্ষনীক অবমুক্ত করার সুপারিশ করেছিলেন এমপি।

সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি, গত ৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বরাবর এক ডিও লেটারে বলেছিলেন, “মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ, শিক্ষক বদলী ও সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের অযুহাত দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক বদলী করায় অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা সৃষ্টি হওয়ায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। তাই তাকে তাৎক্ষনীক অবমুক্ত করে শরণখোলার শিক্ষা অফিসারকে মোরেলগঞ্জে বদলীর সুপারিশ করেছি”। কিন্তু রহস্যজনক কারনে প্রায় ৪ মাস পার হলেও এমপি’র ওই সুপারিশ কোন কাজে আসেনি। মাসুম বিল্লাহ বহাল তবিয়তেই আছেন। চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই’।



(একে/এসসি/অঅগস্ট৩১,২০১৫)