পীযূষ সিকদার : ‘গীতমালিকা’ রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গীতমালিকা নিয়মিতভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত সাধনা করে যাচ্ছে।

সেই সাধনার অংশ হিসেবে গীতমালিকা রবীন্দ্রনাথের বর্ষা ও প্রেমের গান নিয়ে হাজির হয়েছে ২৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের প্রধান মিলনায়তনে। হলে ঢুকেই হলভর্তি শ্রোতৃদর্শকমন্ডলীর পিন পতন নিরবতায় নিবেদনে গানের সঙ্গে মিলেমিশে এক অকৃতিম সঙ্গীত ভূবন তৈরি হচ্ছিল দমে দমে। আমিও নিবেদনে নিবেদনে গানের ভূবনে ডুব দিই। অসাধারণ এ সন্ধ্যা। মনে থাকবার মতো। বলতে গেলে সে অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অনেককিছু দেখে শুনে বুঝে নিতে হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেবার মতো কিছু নেই। তিনি তাঁর সৃষ্টিসম্ভারে অমর হয়ে আছেন। কী গানে কী কবিতায় কী নাটকে কী ছবিতে কী সমাজ সংস্কারক হিসেবে।

ষড়ঋতুর এই দেশে রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে প্রিয় ঋতু বর্ষা। তাঁর রচিত প্রকৃতি পর্যায়ের গানের মধ্যে বর্ষার গান সংখ্যায় সব থেকে বেশী। এ ছাড়াও তাঁর প্রেম ও বিচিত্র পর্যায়ভূক্ত গানের মধ্যে বর্ষার চিত্রকল্প সমৃদ্ধ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গান রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সকল সৃষ্টিই যে অসাধারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না; তবু এ কথা অনস্বীকার্য যে, তার মধ্যেও সকল প্রকার সাঙ্গিতীক বিচারে অনন্য অসাধারণ গানগুলির মধ্যে বর্ষার গানের স্থান অন্যতম। সেই অন্যতম কিছু বর্ষার গান ও প্রেমের গান নিয়ে গীতমালিকা শ্রোতৃদশৃকমন্ডলির কাছে হাজির হয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রকাশে নিবেদনে নিবেদনে গানের নৈবেদ্য সাজিয়ে।

রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিল্পীরা হলেন, খায়রুল আলম সবুজ, তাজিম সুলতানা, লুৎফর রহমান জোয়াদ্দার, বর্ষা রাহা, শহীদুল হক স্মার্ত, রিদওয়ানা আফরীন সুমি, তরুণ কর্মকার, কৃষ্ণা রায়, জীবন চৌধুরী, ওয়াসীমা তাসনীন হেমা, মীযানুর রাহমান তাসলীম। যন্ত্রানুষঙ্গে সেতারে ফিরোজ খান, তবলায় রবীন্দ্রনাথ পাল,মন্দিরায় নাজমুল আলম ঝরু। উপস্থাপনা- এনামুল হক বাবু ও আবৃত্তিতে তানিয়া তোফায়েল হক তানিয়া এবং পরিচালনায় মীযানুর রাহমান তাসলীম। কবি আসাদ চৌধুরী কথন শেষে গীতমালিকার বর্ষা ও প্রেমের গানের পরিসমাপ্তি ঘটে আরেকটি মনমুগ্ধ সঙ্গীত আসরের আকাঙ্খা থেকে। গীতমালিকা রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চায় এগিয়ে যাক এ শুভ কামনা রইল।