স্টাফ রিপোর্টার: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন-২০০৬ এর (সংশোধনী ২০১৩) ৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আরও একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) রিটটি খারিজ করে দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে একই ধারা নিয়ে করা অন্য একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের পৃথক একটি বেঞ্চ। তবে দায়ের করা তিন রিটের মধ্যে একটিতে রুল জারি করেছেন আদালত।

গত ২৬ আগস্ট বুধবার বিকেলে এ আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে থাকা জাকির হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী শিশির মনির।

এ রিট আবেদনের ওপর তিনদিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় রোববার (৩০ আগস্ট) থেকে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শিশির মনির জানান,‘তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ কারাদণ্ড ১৪ বছর ও ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ একই অভিযোগে পর্নগ্রাফি আইনে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এটি সরাসরি বৈষম্য। আইনের এ ধারাটি সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ এবং ৩৯ ধারার পরিপন্থি।’

রিটে বিবাদী করা হয় আইন সচিব ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে।

আইসিটি আইনের ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ’।

‘(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’।


(এনএইচ/এসসি/সেপ্টেম্বর০২,২০১৫)