আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তিরোধের নির্দেশ দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে ফেরিঘাটে যানবাহনের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।

জানা গেছে, ঈদে যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেকারণে দক্ষিণাঞ্চলগামী বিআইডব্লিউটিসি’র সব ফেরিঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ফেরিঘাটকে যানজট মুক্ত রাখার পাশাপাশি ফেরিঘাটে ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর ঈদের মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলগামী ফেরিঘাট মাওয়া সংলগ্ন শিমুলিয়া, কাওড়াকান্দি, বরিশালের লাহারহাট-ভেদুরিয়া, ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজিতে মেতে ওঠে। বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের সিরিয়ালের নামে তারা প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি করে আসছে। ফলে সাধারন যাত্রীদের ফেরিঘাটে সীমাহীন দুর্ভোগের পাশাপাশি দীর্ঘযানজট লেগে থাকে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তারা জানান, ঈদে ফেরি ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে নৌ-মন্ত্রী কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন। তার নিদের্শনা অনুযায়ী আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে চাঁদাবাজি ও যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তারা যৌথভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার আওতাধীন লাহারহাট-ভেদুরিয়ার তিনটি, ভোলা-লক্ষ্মীপুরের দুটি ফেরি রয়েছে। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সভায় ঈদে ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের কঠোর নির্দেশনা অনুযায়ী এবার তারা কঠোর অবস্থানে থাকবেন।

বরিশাল জনস্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মানওয়ারুল ইসলাম অলি বলেন, প্রতিটি ঈদ মৌসুমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করায় ফেরিঘাটে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ফেরিঘাটে যানজটে থাকার পর যাত্রীবাহি যানবাহনগুলো দ্রুতগতিতে চলতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। তিনি আরও বলেন, শুধু ঈদ নয়, সারাবছর শিমুলিয়া, কাওড়াকান্দি, লাহারহাট, লক্ষ্মীপুরের ফেরিঘাটে যানবাহন থেকে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা উচিত।
ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধে মন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারীর সত্যতা স্বীকার করে বিআইডব্লিউটিসি’র প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (বাণিজ্য) এন.এস.এম শাহাদাত আলী বলেন, ফেরিঘাটকে যানজটমুক্ত রাখতে তারা শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন। তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির কোন ঘটনার সাথে বিআইডব্লিউটিসি’র কোন কর্মকর্তার যোগসূত্রের প্রমান পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫)