মাদারীপুর প্রতিনিধি : ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের ট্রাফিক আইল্যান্ড, বাসস্ট্যান্ডসহ টেকেরহাট থেকে মাদারীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে এ রুটের সাধারণ যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।

স্থানীয়, চালক, যাত্রীসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় টেকেরহাট ট্রাফিক আইল্যান্ডসহ বাসস্ট্যান্ড। নির্মাণের মাত্র তিন মাস পর থেকেই দেখা দেয় খানাখন্দ। অনেক বার নামমাত্র সংস্কার করলেও বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিপাতেই বাসস্ট্যান্ড জুড়ে ছোট-বড় খানাখন্দে সাধারণ যাত্রীদের বিপর্যস্ত নেমে আসে।

ট্রাক চালক ও বাস চালকরা জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর থেকে টেকেরহাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার ও টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ভাংগা পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে গুরুত্বপুর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ অঞ্চলের দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী পরিবহণসহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ অংশ দিয়ে ভারী গাড়ী খুব সাবধানে ও ধীরে চালাতে হয় নতুবা চাকার স্প্রিং ভাঙ্গার ঝুকি থাকে।

বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক আনোয়ার শিকদার, মাদারীপুরের দেলোয়ার, ইউসুব আলীসহ একাধিক চালক জানায়, এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী বাসসহ মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এ মহাসড়কটি বেহাল দশা হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব যানবাহন চালকদের। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।

মাদারীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মস্তফা কামাল বলেন, আমি নতুন এসেছি। দ্রুত ইট ফেলে গর্ত ভরাট করা হবে। তাছাড়া কি কারণে এ জায়গাটি অল্পতেই খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে, তা পর্যাবেক্ষণ করে টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএসএ/এএস/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫)