বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম বড়মদক এলাকায় অভিযান শেষে বলিপাড়া বিজিবি’র হেডকোয়াটারে ফেরার পথে রাজাপাথর এলাকায় নৌকা ডুবিতে নিখোজ বিজিবি সদস্য জুয়েল রানা (২২)’র লাশ ৩দিন পর উদ্ধার হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে সাঙ্গু নদীর তিন্দু মুখ এলাকায় নিহতের লাশ পাওয়া যায়। তবে নৌকা উল্টে নদীতে পড়ে যাওয়া বিজিবি’র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২০ রাউন্ড গুলির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বিজিবি ও এলাকার সূত্র জানায়, আজ শনিবার রাজাপাথর এলাকায় ৩য় দিনের মতো নৌবাহিনীর ডুবুরী দলসহ স্থানীয়দের অংশগ্রহনে উদ্ধার অভিযান অব্যহত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার নীচে তিন্দু মুখ এলাকায় বিজিবি’র নিখোজ হওয়া সদস্য জুয়েল রানার লাশ ভেসে উঠে। পরে ঐ এলাকায় দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষে ১০টি নৌকায় ৭৭জন বিজিবি সদস্য নৌকা যোগে বড়মদক থেকে থানছি ফেরার পথে তিন্দু ইউনিয়নের রাজাপাথর এলাকায় একটি নৌকা সাঙ্গু নদীর প্রবল স্রোতে ডুবে জুয়েল রানা (২২) নামে এক বিজিবি সদস্য নিখোজ হন। এ সময় নৌকায় থাকা বিজিবি সদস্যদের ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২০ রাউন্ড গুলি নদীতে পড়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৬ আগষ্ট সীমান্ত এলাকা বড়মদকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি বিজিবি’র উপর গুলিবর্ষনের ঘটনার পর যৌথ অভিযানে নামে বিজিবি ও সেনাবাহিনী। যৌথ অভিযানের মুখে আরাকান আর্মি পিছু হটে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং যৌথবাহিনীর সদস্যরা ব্যারেকে ফিরে আসতে শুরু করে।

(এএফবি/এএস/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫)