স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষ ভাষণ শুনতে চায় না। মানুষ চায় কাজ।

 

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনেকে কাজ না করে ভাষণ দিতেই ব্যস্ত থাকেন। ভাষণ বন্ধ করে বেশি করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। অসম্ভবকে সম্ভব করতে ভালোবাসি। এ জন্যই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।

তিনি বলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো টেন্ডার হয়েছে, তার একটিতেও নয়-ছয় হয়েছে এমন কথা কেউ বলতে পারবেন না।

এরপর জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন হবে।

দীর্ঘ ৭০ কিলোমিটার এ রাস্তা চার লেনে উন্নীত করতে মোট তিন হাজার ৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তিনটি ধাপে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ৫টি ফ্লাইওভার, ৫টি আন্ডারপাস, ২৬টি সেতু ও ৬০টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

প্রথম ধাপের কাজ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে কোরিয়ার কেরিয়ং ও বাংলাদেশর স্পেক্টা লিমিটেড। দ্বিতীয় ধাপের কাজ করবে মালয়েশিয়ার ইচসিএম ও বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড।

কোরিয়ার শ্যামওয়ান ও বাংলাদেশের মির আক্তার লিমিটেড যৌথভাবে শেষ ধাপের কাজ বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১শ ৯৮ মিলিয়ন ডলার, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইড) ৩০ মিলিয়ন ডলার ও আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এবিএফডি) ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা করবে।

এছাড়া প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ২২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবালের সঙ্গে দেশি-বিদেশি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫)