স্টাফ রিপোর্টার :প্রতি বার শুধু লাইনে  দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকার নোট সংগ্রহ করা গেলেও এবার নিতে হবে আঙুলের ছাপ দিয়ে। একজন ব্যক্তির একাধিকবার নতুন টাকা নেওয়া বন্ধ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানানো হয়। এসময় ডেপুটি গর্ভনর নাজনীন সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুভঙ্কর সাহা বলেন, এবার নতুন নোট বিনিময় করতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। টোকেন সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্ধারিত চারটি কাউন্টার থেকে নতুন নোট গ্রহণ করতে হবে। টোকেন নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে নতুন নোট নেওয়ার জন্য হাতের দুটি আঙুলের ছাপ রেখে দেওয়া হবে।

একজনকে একবার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭শ’ টাকা দেওয়া হবে। সেখানে একটি ২, ৫, ১০ ও ২০ টাকার ১শ’টি করে নোট থাকবে। কেউ একবার টাকা নিলে আর যাতে দ্বিতীয়বার নেওয়ার সুযোগ না পায় সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কারণ একবার আঙুলের ছাপ দিয়ে টাকা নেওয়ার পর আবার নিতে গেলে তার আগের ছাপটি ফিঙ্গার মেশিনে ভেসে উঠবে। একবার নতুন টাকা ওঠালে পরবর্তী এক সপ্তাহের আগে কেউ নতুন টাকা ওঠাতে পারবেন না।

শুভঙ্কর সাহা বলেন, অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টার থেকে একাধিক বার বিপুল পরিমাণ নতুন নোট নিয়ে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে নতুন নোট পাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেক গ্রাহকই তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন এ নোট ছাড়া হবে। যা চলবে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দেশে কার্যরত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ২০টি শাখা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারটি বুথ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।

এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে নতুন নোট নিতে ৪টি কাউন্টার খোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগীয় শহর খুলনা ও সিলেটে ৩টি ও অপর শাখাগুলোতে ২টি করে নতুন নোট বিনিময়ের কাউন্টার রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোর বাণিজ্যিক ব্যাংকেও নতুন নোট পাওয়া যাবে।

এবার রাজধানীতে যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে সেগুলো হলো- জনতা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা ও আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি মার্কেট শাখা, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার ইউনিট দক্ষিণখান শাখা, ব্যাংক এশিয়ার পল্টন শাখা, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা, বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা, যমুনা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা ও দি সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা।

(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর১৬,২০১৫)